রানাঘাটের অস্মিকা পেলো ১৬কোটি টাকার ইনজেকশন, অবশেষে পরিবারের মুখে ফুটলো হাসি ।

রোগটির চিকিৎসা করতে গিয়ে অস্মিকার মা বাবা জানতে পারেন এই চিকিত্সার জন্য যে ইনজেকশন প্রয়োজন ,তার দাম ১৬ কোটি টাকা।

বাংলার বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: লড়াইটা ছিল এক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের লড়াই ,সেই লড়াই যে কিভাবে সমাজের সকল স্তরের মানুষের লড়াই হয়ে গেলো সেটাই আমাদের শিখিয়ে দিলো রানাঘাটের ছোট্ট একরত্তি অস্মিকা। ছোট্ট অস্মিকার জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছে সেটাই আমাদের সমাজের একতার ও সঙ্ঘবদ্ধতার ছবি।

ছবিঃ সংগৃহিত ফেইসবুক থেকে ।

ঠিক ১০মাস আগে এই লড়াই শুরু করেন অস্মিকার পিতা মাতা,তাদের একমাত্র সন্তান কে বাঁচানোর লড়াই। জন্মের ছয় মাস পরেই এক বিরল রোগে আক্রান্ত এই ছোট্ট একরত্তি। রোগটির নাম স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি। রোগটির চিকিৎসা করতে গিয়ে অস্মিকার মা বাবা জানতে পারেন এই চিকিত্সার জন্য যে ইনজেকশন প্রয়োজন ,তার দাম ১৬ কোটি টাকা। এই কথা শুনেই দম্পতির মাথায় বাজ ভেঙে পরার মত অবস্থা,তখন থেকেই লড়াই শুরু। হাল ছাড়েন নি এই দম্পতি। শুরু হলো সন্তান কে বাঁচানোর জন্য এক দীর্ঘ লড়াই,আর এই লড়াইতে একে একে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ সামিল হলেন। দরকার ছিল ১৬কোটি টাকা,ক্রাউড ফান্ডিংয়ে উঠলো ৯ কোটি টাকা। আর এই টাকাতেই ইনজেকশন দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা। মুখে হাসি ফুটেছে অস্মিকার মা বাবার মুখে।

ছবিঃ সংগৃহিত ফেইসবুক থেকে ।

একরত্তির বাবা জানিয়েছেন, শান্তনু ঠাকুর এবং সোমা ঠাকুরের সাহায্যে চ্যারিটেবল ট্রাস্টের মাধ্যমে ৬০লক্ষ টাকা,শুভেন্দু অধিকারী ১০ লক্ষ টাকা, আর সমাজের অসংখ্য মানুষের ১টাকা থেকে শুরু করে লক্ষ টাকা অবধি সাহায্যের জন্যই মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বিশেষ বাক্সে প্যাক করে ওষুধ এসেছে কলকাতায়। বুধবার কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতাল চিকিত্সাধীন অস্মিকাকে এই ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রানাঘাটের এই একরত্তির পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সকল মানুষ,যারা এই লড়াইতে সামিল ছিলেন তারা আজ খুব খুশি।

ছবিঃ সংগৃহিত ফেইসবুক থেকে ।

Leave a Comment