শুক্রবার সকালে ইজরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১০০ড্রোন দিয়ে হামলা চালালো ইরান। হামলা চালানোর কিছু পরেই তেলআভিভ জানিয়ে দেয় তারা এই হামলা প্রতিহত করেছে।
শুক্রবার সকালে ইজরায়েল অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরু করে,আঘাত হানে ইরানের ওপর। তেল আভিভ জানিয়েছে এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র ও সেনাঘাটি। হামলায় ইরানের অন্যতম পরমাণু কেন্দ্র নাতানজ ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইজরায়েলের এই হামলায় ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি,রেভলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি এবং প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলী সামখানির নিহত হয়েছেন। এছাড়া কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানী ও সেনা আধিকারিক মারা যান এই হামলায়।
ইজরায়েলের এই হামলার পরেই ইরান জরুরি অবস্থা জারি করে। ইরান ইজরায়েল কে হুমকির সুরেই জানায় এই হামলার ফল ভোগ করতে হবে তেল আভিভ কে। সূত্রের খবর ইরানের সমস্ত রকম হামলা প্রতিহত করে ইজরায়েল,এবং একটি ড্রোন জর্ডনের আকাশ সীমায় প্রবেশ করলে গুলি করে ড্রোন টিকে মাটিতে নামায় জর্ডন।

ইতিমধ্যেই এই হামলার ফলে ইরান ও ইরাকের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে সকল দেশ। এদিকে ইজরায়েলের হামলার পরেই ইরান রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা চেয়ে আবেদন করেছে। তবে এই হামলা – পাল্টা হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্য যে আবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।