পাকিস্থানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার পর এই প্রথম বিদেশযাত্রা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর । প্রধানমন্ত্রী কানাডা সহ তিন দেশের বিদেশযাত্রা করবেন। কানাডা সফরের আগে তিনি সাইপ্রাস যাবেন ,যা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ।দীর্ঘ ২৩ বছরের পর কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাইপ্রাস ভিজিট।

প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানানোর জন্য বিমানবন্দরে স্বয়ং সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি নিকোস ক্রিস্ট্রোদলিডেস উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি এই বিশেষ সম্মানের জন্য সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতিকে কৃতজ্ঞতা জানান। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান “গ্র্যান্ড ক্রস অব দ্য অর্ডার অব ম্যাকারিওস” প্রদান করেন,যা বিশ্বমঞ্চে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও ক্রমবর্ধমান মর্যাদার আরেকটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। প্রধানমন্ত্রী মোদি এই সম্মানকে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর সম্মান বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন দীর্ঘ সময় ধরে সাইপ্রাস আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু।এছাড়া তিনি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ওপর জোর দেন,যা দুই দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
বিদেশমন্ত্রালয়ের মতে এই যাত্রা উভয় দেশের সম্পর্ক কে আরো মজবুত করবে এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও ইউরোপীয় সংঘের সাথে ভারতের সম্পর্ককে আরো মজবুত করার জন্য কাজ করবে উভয় দেশ।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সাইপ্রাস যাত্রা শুধু অর্থনৈতিক নয়,কূটনৈতিক দিক দিয়েও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ “অপারেশন সিঁদুর”এর সময় তুরস্ক পাকিস্থান কে পিছন থেকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর ফলে তুরস্কের সাথে সম্পর্কের তিক্ততা শুরু হয়, আর তুরস্কের সাথে সাইপ্রাসের সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ । এই কারণে এই সাইপ্রাস ভিজিট আসলে তুরস্ক কে মোদীর একটা কড়া বার্তা।যার ফলে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাইপ্রাস ভিজিট তুরস্কের কাছে চিন্তার বিষয়। তবে তুরস্ক এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি এখনো পর্যন্ত।







