অবশেষে চালু হতে চলেছে নতুন প্রস্তাবিত শিয়ালদহ – জলপাইগুড়ি রোড সরাসরি ট্রেন ব্যাবস্থা।
দীর্ঘদিন ধরেই মানুষ অপেক্ষা করছিল এই দিনটির জন্য,এবার সেটা পূরণ হলো। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার অভয় গণপতি সনপ বাবু বলেছেন , ১৪ই জুন বিকাল ৫টা নাগাদ জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে একটু অনুষ্ঠান হবে ,তারপর রাত ৮.৩০মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে।
আলিপুরদুয়ার ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে ট্রেনটি প্রতি শুক্রবার রাত ১১.৪০মিনিটে শিয়ালদহ থেকে যাত্রা শুরু করে শনিবার দুপুর ১২.১৫ মিনিটে জলপাইগুড়ি রোড পৌঁছবে ।আবার শনিবার রাত ৮.৩০ মিনিটে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে ৮.১০ মিনিটে শিয়ালদহ পৌঁছবে। সূত্রের খবর ট্রেনটিতে আপাতত ১৬টি এসি থ্রি টিয়ার কোচ , দুটি স্লিপার কোচ, একটি প্যান্ট্রি কার,দুটি পাওয়ার কার কোচ থাকবে। পরবর্তীতে সংশোধিত হতে পারে।
এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় বাবুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ,তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে জলপাইগুড়ি সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিদার্থে জলপাইগুড়ি রোড থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি একটি ট্রেন চালানোর জন্য রেলমন্ত্রীকে আর্জি জানান।
এরপর সুদীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে ২৫শে ফেব্রুয়ারি রেলবোর্ড থেকে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল এবং ইস্টার্ন রেলের জেনারেল ম্যানেজার কে নির্দেশ দেওয়া হয় শিয়ালদহ থেকে জলপাইগুড়ি রোডের মধ্যে একটি একটি নতুন ট্রেন চালু করার জন্য। কিন্তু কেনো এতদিন অপেক্ষা করতে হলো,এই বিষয়ে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন আমাদের এখানকার ছাত্র ছাত্রী,ব্যবসায়ী, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্যান্য মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই এই ট্রেনটি চালু করার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। এর ফলে কলকাতা যাওয়ার ক্ষেত্রে আরো সুবিধা হবে।

এই ট্রেনটি শিয়ালদহ থেকে যাত্রা শুরু করার পর নৈহাটি, রানাঘাট জং,কৃষ্ণনগর সিটি জং,বহরমপুর কোর্ট ,আজিমগঞ্জ,জঙ্গিপুর রোড, নিউ ফারাক্কা,মালদা টাউন, সামসি, বারসোই জং,কিসানগঞ্জ,আলুয়াবাড়ি রোড,জলপাইগুড়ি,জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে যাত্রাপথ শেষ করবে।।
শুধু মাত্র জলপাইগুড়ি সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষের জন্যই যে এই ট্রেনটি সুবিধাজনক সেটা মোটেও নয়। এই ট্রেনটি চালু হবার ফলে রানাঘাট , কৃষ্ণনগর ,বহরমপুর, অজিমগঞ্জ এর মানুষদেরও উত্তরবঙ্গ যাওয়া খুব সুবিধা ও সহজ হয়ে যাবে। এই বিষয়ে আমরা রানাঘাটের অনেক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানতে পারি তারা খুব খুশি রেলের সিদ্ধান্তে। আমরা রাণঘাটের বাসিন্দা অনিকেত বাবুকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান ,তিনি খুব উৎসুক হয়ে আছেন এবং তিনি অপেক্ষা করছেন কবে তিনি রানাঘাট থেকে ট্রেন ধরে উত্তর বঙ্গে ঘুরতে যাবেন। তিনি এও জানান যে “এটা রানাঘাট বাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল,সেই স্বপ্ন যেনো পূর্ণ হলো”।