কাউন্সিলরের বিবৃতি: মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তরুণী
সোদপুরে ভরদুপুরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পথচলতি মানুষজন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তায় দুই মহিলার মধ্যে শুরু হয় তুমুল বাকবিতণ্ডা, যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। ভিডিওতে দেখা যায়, এক মহিলা বাইক থেকে নেমে এক তরুণীকে সপাটে চড় মারেন। সেই সঙ্গে শুরু হয় চুল টানা ও ধাক্কাধাক্কি। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনাটি ভাইরাল হতেই জানা যায়, ওই সাদা পোশাক পরা মহিলা আসলে একজন জনপ্রতিনিধি — পানিহাটি পৌরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রাবন্তী রায়, যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীও। তবে ওই তরুণীর পরিচয় এখনো পর্যন্ত স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ ভিডিওটি দেখে হাস্যরস করেন, আবার কেউ কেউ জনপ্রতিনিধির এমন আচরণ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।

ছবিটি ভাইরাল ভিডিও থেকে সংগৃহীত
বিরোধীদের অভিযোগ, একজন জননেত্রীর কাছ থেকে এমন হিংসাত্মক আচরণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তারা প্রশ্ন তোলেন, “উনি কীভাবে সংযত না হয়ে এমন মারধর করলেন?” তবে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শ্রাবন্তী রায় বলেন, ঘটনার দিন তিনি বাইকে করে যাচ্ছিলেন, তখন এক তরুণীর স্কুটারের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। সেই তরুণী বাইকের চাবি খুলে নেন এবং তাকে কু মন্তব্য করে উত্তেজিত করে তোলেন। তিনি আরও দাবি করেন, ওই তরুণী মদ্যপ ছিলেন এবং বয়সে অনেকটাই ছোট হওয়ায় তিনি তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেননি।
বর্তমানে এই ঘটনাটি নিয়ে পানিহাটি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনা শুধুমাত্র একজন জনপ্রতিনিধির আচরণ নিয়েই প্রশ্ন তোলে না, বরং সামগ্রিকভাবে রাজনীতিক শালীনতার বিষয়েও নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।